লেখক: ফাতিমা পারভীন।
স্মৃতির অতর্কিত চমকের কাছে
আমি আত্মসমর্পণ করি,
কেননা স্মৃতি আমার চলার গতি শ্লথ করে দেয়।
গাঢ় কালো মেঘ হয়ে,
নিঃশব্দে দূরপ্রাচ্য থেকে ফিরে আসে।
অপচ্ছায়ার মতো চোখের সামনে পেছনে
ঝুলে, পড়ে ক্ষতবিক্ষত আমার অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলি
দমকা হাওয়ায় উড়ে যায় হৃদস্পন্দন।
ভাঙ্গা কাঁচের শার্সিতে দেখি,
পোড়ানো নির্বোধ সময়ের কষাঘাতে
আমার দিগন্তগুলো তাড়া খেয়ে
রক্তাক্ত হয়ে ঝরে যায়।
জীবনের অদ্ভুত চিত্রমালা
যা আমি এঁকেছি হৃদয়বৃত্তি দিয়ে
অদৃশ্য, বিরতি নিয়ে রং তুলিটা
এতো সব চিত্রানুষঙ্গ মুছে গেল মুহুর্তেই
শুকিয়ে যেতে দেখেছি
আমি যা অতি যত্নে সাজিয়েছিলাম।
নিজের সমস্ত চেতনায় উজ্জীবিত করে
ডায়েরিতে লিখেছি দিনের পর দিন
দূর্ভিক্ষ এসেছিল সমস্ত অনুভূতিতে
আমার সব কিছুই হারিয়ে গেল
ধূসর-সাদা তুষার কুয়াশায়।
তুমি যদি বেঁচে থাকো
সত্যিই যদি তুমি বেঁচে থাকো,
তবে আরো একটি শতাব্দী চাই
তখন সব কিছুতেই থাকতে চাই আমি।
প্রতিটি দৃশ্য থাকবে সুমহান সুচিন্তিত
শেষের অঙ্কটা যেখানে সমাপিকা টানে নিমিষেই
সেখানেই অবিচল শেষ হয়ে যাবে দেখা হলে
সব কিছু ডুবে যাবে।
ডুবে যাবে আমার কপট বিশ্বাস
ঝরা বকুলে হেঁটে যাওয়া মানে
এক জীবন একদম শেষ করা নয়।
লেখক: ফাতিমা পারভীন।
উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান
পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ।
স্বনামধন্য: কলামিস্ট বাংলাদেশ প্রতিদিন।
Leave a Reply