লেখক: মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা।
২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল রাজশাহী বাগমারার তরুণ মো. আব্দুল কুদ্দুসকে তুলে নিয়ে গুম করা হয়। তার এক বছর পার হতে না হতে আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী অন্যত্র বিয়ে করেন। একদিকে পুত্রশোক অন্যদিকে শিশু সন্তান সাদিয়া আক্তারকে তার মা রেখে অন্যত্র বিয়ে করায় কষ্ট সহ্য করতে না পেরে আব্দুল কুদ্দুসের বাবা আব্দুস সামাদ ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
আব্দুল কুদ্দুসের মা আবেদা বিবি তার নাতি সাদিয়া আক্তারকে নিয়ে জীবনের শেষদিনগুলো গুনছেন। প্রতিবছর ৬ এপ্রিল এলেই তাদের ঘর জুড়ে অন্ধকার নেমে আসে।
মনে পড়ে আব্দুল কুদ্দুসের কথা। পরিবারের একমাত্র আয় আব্দুল কুদ্দুস বেশ ভালভাবেই সংসার চালাচ্ছিলেন। আজো তারা কেউ জানে না কি অপরাধে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার বোন পারভীন নেসা আজ ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ।
তোমায় প্রতিক্ষায়,হে প্রিয় ভাই আমার চলে গেছে।তোমার ভালোবাসা তোমার প্রিয় বাবাঃবলত, ছেলে আমার এলে,বিছানা থেকে উঠব আমি লেফে,তবু তুমি আসনি! জানিনা, ওই নরপিশাচের দল।
তোমায় আমাদের থেকে করে দূরে কি পেয়েছে ফল। তুমি ছিলে আশার আলো,সবার নয়ন মনি,ওই স্বৈরাচারী শাষক তোমায় করে দিল কেন জানি গুম।
যদি এমনি করবে,তবে কেন পরিবারসহ নিল না তুলে তোমার সাথে,
আজ সিক্ত জলে মায়ের গনতান্ত্রিক। বাংলাদেশে,নেইতো স্বাধীনতা।মিথ্যা আইনের ছকে বাধা,স্বাধীনতার চাকা বাঁচার মতো বাচতে চাইলে,যেখানে খেতে হয় ছ্যাকা,তোমায় হারিয়েছি ৬/৪/১৭ইং থেকে।
আজ এতোটা বছর পেরিয়ে গেল,আর কতদূর?একটায় দাবি,ফিরিয়ে দিক,মায়ের এই সন্তান,প্রতীক্ষিয়মান স্বজন
লেখক: বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান।
Leave a Reply