লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি:
নানার বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হওয়ার ২০ ঘণ্টাতেও কোন খোঁজ মেলেনি চার বোনের। লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে চার বোনের এমন নিখোঁজের ঘটনায় পরিবার ও এলাকাজুড়ে ব্যপক আলোচনা ও নানা শংকার কথা ছড়িয়ে পড়েছে। সম্ভাব্য স্থানে খুঁজেও তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ বোনেরা হলেন জোবায়দা আক্তার (১২), সিমু আক্তার (১৪), মিতু আক্তার (১২) ও সামিয়া আক্তার নিহা (১৩)।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চার বোন একসাথে উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের চরবসু গ্রামের বাড়ি থেকে বের হয় নানা বাড়িতে বেড়াতে যাবার উদ্দেশ্যে।
এদিকে, কোথাও খুঁজে না পেয়ে সন্ধ্যায় কমলনগর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন দাদি আকলিমা বেগম। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোথাও তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ বলছে, তাদেরকে খুঁজে পেতে চেষ্টা চলছে।
জোবায়দা চরবসু গ্রামের মো. ইব্রাহিমের মেয়ে ও চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী, সিমু মৃত আবুল খায়ের চুন্নুর মেয়ে ও ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী, মিতু একই বাড়ির জয়নাল আবেদিনের মেয়ে ও পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী এবং নিহা শামছুল আলমের মেয়ে ও ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। তারা সম্পর্কে চাচাতো বোন।
নিখোঁজ ডায়েরি সূত্র জানায়, নিহার নানার বাড়ি চরবসু গ্রামে। তিন বোনকে নিয়ে নিহা নানার বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে ঘর থেকে বের হয়। কিন্তু সময়মতো তারা বাড়িতে ফেরেনি। এতে খোঁজ নিলে জানতে পারে তারা নানার বাড়িতে যায়নি। সম্ভাব্য স্থানেও খুঁজেও তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
পরিবার জানিয়েছে বেরুনোর সময় জোবায়দার পড়নে কমলা রঙের জামা, মিতুর পড়নে মিষ্টি রঙের জামা, নিহার পড়নে কালো ও গোলাপি রঙের জামা এবং কচু পাতা রঙের সেলোয়ার কামিজ ছিল।
চরবসু এসইএসডিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান মানিক বলেন, নানার বাড়ির উদ্দেশে বের হওয়ার পর তারা আর ঘরে ফেরেনি। পরিবারের লোকজন তাদেরকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও পায়নি। পরিবারের সঙ্গে তারা নোয়াখালীতে বসবাস করে। ঈদের ছুটিতে বেড়াতে এসেছিল। স্থানীয় এলাকা তারা ভালোভাবে চেনে না। কেউ তাদের সন্ধান পেলে কমলনগর থানায় যোগাযোগের অনুরোধ করেন তিনি।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ সোলায়মান বলেন পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
Leave a Reply