ষ্টাফ রিপোর্টার : জুঁই আক্তার
ভয়-ভীতি দেখিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের দমন করা যাবে না বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭৫ সালের পরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র থেকে বাংলাদেশকে নতুন করে একটি বহুদলীয় গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বেই তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত করার কাজ শুরু হয়েছিলো। আজ সেই মানুষটির প্রতি আমরা গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যের বিষয়, যে গণতন্ত্রকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পুনরুদ্ধার করেছিলেন, সেই গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম লড়াই করছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি এখনও গণতন্ত্রের জন্যই কারান্তরীণ হয়ে আছেন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাসিত হয়ে আছেন। আমাদের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীদের নামে মামলা। এর মধ্যে অনেকে গুম হয়েছেন, খুন হয়েছেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশে আজকে গণতন্ত্র সম্পূর্ণভাবে অনুপস্থিত। বর্তমানে অবৈধ অনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নির্যাতন, হত্যা, গুম ও খুনের মধ্য দিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করেছে।
নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে তারা সেই পুরনো কায়দায় একইভাবে মানুষের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করছে। আমাদের ছাত্রদলের ওপর হামলা, নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, বাড়িঘরে হামলা করে আজকে তারা একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে।
তিনি বলেন, আজকে আমরা শপথ নিয়েছি কোনো ভয়-ভীতি আমাদেরকে দমন করতে পারবে না। আমরা সব কিছুকে মোকাবিলা করে এই ভয়াবহ সরকারকে সরিয়ে একটা নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে পার্লামেন্ট প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে বিএনপি দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়,ক্ষমতাসীনদের এমন অভিযোগের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আসলে তারা (সরকার) এই সমস্ত কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়, জনগণের দৃষ্টি অন্য দিকে নিতে চায়। মূল বিষয়টা হলো গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য এই দেশের মানুষ সংগ্রামে নেমেছে। ইতিমধ্যে রাজপথে রক্ত ঝরেছে। এর মধ্য দিয়েই দেশের মানুষ গণতন্ত্র ফিরে পাবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।
Leave a Reply