নিজস্ব প্রতিবেদক: এইচ এম বিল্লাল হোসেন রাজু
২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে “লুটপাটের হিসাব” বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাকে বলছেন বাজেট হচ্ছে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া কি? প্রতিবছরই আমরা বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়ার দিয়ে থাকি, এ বছর আর প্রতিক্রিয়া দিতে চাই না। কারণ কোন বাজেটের প্রতিক্রিয়া দেব, কার বাজেটের প্রতিক্রিয়া দিব? কারা এই বাজেট করছে, যারা জনগণের প্রতিনিধিত্ব নয়। যাদের বাজেট দেয়ার কোনো অধিকার নেই, যারা এই সমস্ত বাজেট তৈরি করে শুধু নিজেদের লুটপাটের জন্য। তারা কি করে ভবিষ্যতে আরো লুটপাট করবে তার একটি হিসাব তৈরি করে।
বৃহস্পতিবার, জুন ৯, ২০২২, বিকেলে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির কাফরুল থানা ৪টি ওয়ার্ড কাউন্সিলে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে সাবেক সাংসদ ও বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা এস এ খালেককে দেখতে তার বাসা যান মির্জা ফখরুল।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা অত্যন্ত খারাপ সময় অতিবাহিত করছি, এটা শুধু বিএনপির জন্য নয় সমস্ত জাতি খারাপ সময়। এখন যারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে তারা এদেশের মানুষের সকল অধিকার গুলোকে কেড়ে নিয়েছে। শুধু তাই নয় তারা এ দেশটাকে একটি লুটপাটের রাজত্ব তৈরি করেছে।
মির্জা আলমগীর বলেন, এত টাকা বাজেট দিয়েছে। ওখান থেকে কত টাকা লুট করবে তার একটা হিসাব বের করছে। এ কারণেই এই বাজেট আমার কাছে এতটুকু গুরুত্ব পায় না। আর এ বিষয় নিয়ে আমি বেশি কিছু বলতে চাচ্ছি না।
তিনি বলেন, দেশটাকে বাঁচাতে হবে। দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে আমাদের যুদ্ধে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। কোনো ব্যক্তি বা কোনো পরিবারের জন্য দেশ স্বাধীন করা হয়নি, দেশের মানুষের জন্য স্বাধীন করা হয়েছে। আমাদের দুর্ভাগ্য আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও সেই স্বাধীনতা নেই, আজকে আমাদের কথা বলার স্বাধীনতা নেই।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। উন্নয়ন বলতে বলতে পাগল হয়ে গেছে। উন্নয়নটা কোথায়? অবকাঠামো বানাচ্ছে নিজেদের পকেট ভরছে। ৪২ শতাংশ লোক এখন দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে। শতকরা ৪২ জন তারা দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে। এই অবস্থা নিয়ে লুটপাট করছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, মানুষ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা পায় না, চিকিৎসা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। শিক্ষাব্যবস্থাকে এখন আর শিক্ষার কোনো মানদণ্ড নেই। শিক্ষার মান এত নেমেছে যে আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, পাবলিক কলেজ থেকে যারা পাস করে ফিরে তারা বাইরে গিয়ে কোথাও জায়গা পায় না। এমন জায়গায় নিয়ে এসেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য এরা (আওয়ামী লীগ) কোনো কাজ করে না।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমাদের বিকল্প কোনো পথ নেই। আমরা যদি বাঁচতে চাই, দেশকে বাঁচাতে চাই, তাহলে আন্দোলন আন্দোলন আন্দোলন। আন্দোলনের মধ্য দিয়েই তাদের পরাজিত করতে হবে।
এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমানউল্লাহ আমানসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply