গলাচিপা উপজেলা প্রতিনিধি : মোঃ শাকিল প্যাদা
পটুয়াখালীর গলাচিপা- দশমিনা উপজেলার উলানিয়া- রনগোপালদী ইউনিয়নের মধ্যে, বুড়া গৌরাঙ্গ নদীর উপর মাত্র কয়েক বছর আগে নির্মিত হয় এই সেতু।
সেতুটি জনগণ ও পরিবহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিলেও,কাজ শেষ হয়নি সংযোগ সড়কের। উভয় পাড়ে আছে শুধু ইটের সলিং করা সড়ক। সেই ইটের সলিং সড়কের উভয় পাড় রয়েছে অনেক গুলো খানাখন্দেভরা।গত ০৯/০৬/২০২২ রোজ বৃহস্পতিবার মাত্র দের- দুই ঘন্টার বৃষ্টির কারনে নিচের বালু সরে গিয়ে ইটের সলিং সহ পার্শের পাইলিং ব্লক,ছোট সাইট পিলার ভেঙ্গে তৈরী হয়েছে মানুষের মৃত্যুকুপ।যেই সড়কের উভয় পাড়ে ঢাল ওঠার সময়,যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ঠেলে উঠাতে হয় অটোরিকশা গাড়ী।সেটার আজকের এই হাল দেখে দিশেহারা খেটে খাওয়া পরিবহন চালকরা। তাই এখনি এই সংযোগ সড়কের মেরামত করা না হলে,আর মাত্র দুই- চারদিন ঘন বৃষ্টি হলে সেতুটি গাড়ি চলাচলের পুরোপুরি অযোগ্য হয়ে পরবে বলে মনে করেন ভুক্তভোগী জনসাধারণ।
কয়েকজন পরিবহন শ্রমিক ও স্কুল- কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিবেদকের নিকট বলেন তাদের চলাচলের দূর্ভোগের কথা।পরিবহন চালক জানান যে আমরা প্রতিদিন ঢাকা গামী দুই- তিনটি বাস পারাপার হই।তখন সেতুর উভয় পাড়েই উঠা নামার সময় আমরা সহ যাত্রী নিয়ে ঝুঁকির মধ্যে থাকি।আপনারা জানেন যে মাঝে মাঝে দুই- একদিন পরপর ছোট থেকে মাজারি প্রায় অনেক গাড়ী উভয় ঢালেই কাত হয়ে পড়ে,ঘটে নানান দূর্ঘটনা।
নাএটা এই রোডে সব সময় চলাচলকারী অটোরিকশা,ভ্যান ও বোরাক ড্রাইবার গন ভালো জানেন।তাহলে বলেন আমরা এতো বড় গাড়ী নিয়ে কিভাবে পার হই,আমাদের কি পরিবার-পরিজন নাই।আমাদের কিছু হলে তারা কার কাছে যাবে,আপনারাই বলুন। আমরা আপনাদের মাধ্যমে মাননীয় সংসদ সদস্যের কাছে করজোড়ে অনুরোধ করে বলতে চাই।মাননীয় সংসদ সদস্য মহাদ্বয় আমরা অনেকেই এই সেতুর উপর নির্ভরশীল।
এই সেতুর উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে আমরা আমাদের পরিবারের জন্য রুটি-রুজির ব্যবস্থা করি।তাই আপনার কাছে আকুল আবেদন,এই সেতুর সংযোগ সড়কের পূর্ণ সংস্কার করার ব্যবস্থা নিবেন।আমাদের ও স্কুল- কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের চলাচলের পথ ঝুঁকি মুক্ত করে,সুন্দর ভাবে জীবন- যাপনের ব্যাবস্থা করার দাবি জানাচ্ছে এলাকা বাসি।
Leave a Reply