বরগুনা জেলা প্রতিনিধিঃ মোঃ বেলাল
বরগুনা সদর উপজেলার সোনাখালী গ্রামের তুহিন নামক এক যুবক ভালোবাসার ফাদে পড়ে সব হাড়িয়ে এখন মানুষিক রুগীতে পরিনত হয়েছে।
কম্পিউটারে দক্ষ ছিলেন তিনি প্রথমে বরগুনায় পরে বরিশালে দোকান চালিয়ে ভালোই চলছিলো তুহিনদের সংসার। সুখের সংসার আলোকিত করে ফুটফুটে এক ছেলে সন্তানো এসে ছিলো তুহিনের ঘরে। গত পাঁচ বছর আগে তুহিনকে ছেড়ে যায় তার স্ত্রী মর্জিনা। তুহিনের স্ত্রী প্রবাসে যেতে ইচ্ছাপোষণ করলে নিজের আয়ের প্রতি সন্তুষ্টি না থাকায় স্ত্রী কে বিদেশ যেতে বাধা দেন নি, তখন থেকেই সংসারে টুকটাক ঝামেলা চলছিলো। ভাঙনে গিয়ে থামে তাদের সংসার। ভালোবাসার স্ত্রী তাকে ডিভোর্স দেয়ার পর থেকেই মানুষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন তিনি। তুহিনের বাবা বলেন, তুহিন কে গত পাঁচ বছর ধরে হাত পাঁ বেধে রাখতে হয়। তা নাহলে যাকে তাকে মারধর করে।
গত এক বছর যাবত হাত পাঁয়ের বাধন একেবারেই বাধা। আগে তো মাঝে মাঝে ছাড়া যেতো এখন তো তাও যায় না।
একই এলাকার আবু নাইম আহমেদ বলেন একই এলাকায় বাসা আমাদের এপার ওপার।
এলাকায় ডাকনাম তার জয়নাল, অতি নম্র-ভদ্র এবং সকলের কাছে প্রিয় একজন মানুষ। বর্তমান যুগে যেখানে মাদকের করালগ্রাসে যুব সমাজ ভিন্ন পথে সেখানে জয়নাল ভাইকে ধুমপানও করতে দেখিনি কখনও।
বরগুনা শহরে একটি মোটামুটি চাকরি করে এবং নিজেদের জমিতে যা ফসল হয় তা দিয়ে ভালোই চলতো তাদের পরিবার।
কিন্তু হঠাৎ সাজানো সংসারটা এলোমেলো হয়ে গেলো। মোঃ জয়নাল এর স্ত্রী হঠাৎ করেই তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ায় মানসিক ভাবে প্রচন্ড একটা শক পায় যার কারনে তার মানসিক সমস্যা দেখা দেয়।
প্রথমদিকে যখন তার হাত-পা খোলা ছিলো সবাইকে মারধর এবং সবকিছু ভাংচুর করতো যার ফলে তাকে চার হাতপায়ে শিকলে বাঁধা জরুরী হয়ে পড়ে।
ছেলের চিকিৎসা করাতে করাতে নিজেদের জমি সব বিক্রি করা হয়ে গেছে অনেক আগেই, এখন একপ্রকার মানবেতর জীবনযাপন করছে এ পরিবারটি।
প্রথমদিকে আমরা যারা কাছের আছি তারা যে যতটুকু পেরেছি সাহায্য সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি, আসলে প্রতিদিনতো আর কারও পক্ষে সহযোগিতা করা সম্ভব না আর যতটুকু সহযোগিতা করা হয় তা দিয়ে তার পরিবারকেই সাপোর্ট দিতে হয় তার চিকিৎসাতো পরের হিসাব। আসলে যখনই এ পরিবারটি নিয়ে যখনই কোনো নিউজ দেখি ভিতরটা দুমড়েমুচড়ে যায়, সাজানো সংসারটার আজ কি করুন অবস্থা।
এখন এই জয়নালের চিকিৎসা ও জয়নালের পরিবারের পাশে সুশীল সমাজ যারা বিত্তবানআছেন এবং সরকারি ভাবে সকলকে এগিয়ে আসার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি”।
Leave a Reply