নিজস্ব প্রতিবেদক এইচ এম বিল্লাল হোসেন রাজু
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রপাড়া এখন বেশ উত্তাপ্ত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা। চিত্রনায়িকা মৌসুমী, অভিনেতা ওমর সানি এবং অভিনেতা জায়েদ খানকে নিয়েই মূলত যত ঝড় উঠেছে এবার।
সম্প্রতি ওমর সানি অভিযোগ করেন, জায়েদ খানের কারণে তাদের সংসারে ভাঙন দেখা দিচ্ছে। এমনকি মৌসুমীকে নানা মাধ্যমে বিরক্ত করছেন তিনি।
এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ লিখিত আকারে সানি জমাও দিয়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে। বিচার চেয়েছেন সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছে।
এ অবস্থায় মৌসুমী এক অডিও বার্তায় জানান, স্বামী ওমর সানির অভিযোগ মিথ্যা। জায়েদ ভালো ছেলে। তিনি তাকে কখনো বিরক্ত করেননি। তার সঙ্গে মৌসুমীর শুধু পেশাগত সম্পর্ক।
এ বিষয়ে ওমর সানির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি যা বলেছি স্পষ্ট করেই বলেছি। আমি শ্রদ্ধা রেখেই কথা বলতে চাই, আমার পরিবারের প্রতি। মৌসুমীর প্রতি আমার প্রচণ্ড শ্রদ্ধা আছে, মৌসুমী আমার সন্তানের মা। একটা কথা বলতে চাই, আমি কি বলেছি না বলেছি সম্পূর্ণ আমার ছেলে ফারদিন, আমার মেয়ে ফাইজা জানে। আমাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে জায়েদ খান যে মৌসুমীকে ডিস্টার্ব করেছে। ফারদিন বলুক আর ফাইজা বলুক তাদের মায়ের সম্পর্কে।
এরপর ওমর সানি-মৌসুমী দম্পতির ছেলে ফারদিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, শুধু আমার আম্মা না, উনি (জায়েদ খান) কমবেশি সবাইকে বিরক্ত করেন। আমি জানি বিষয়গুলো। কিন্তু পাবলিকলি সব বলবো না। জায়েদ খান আমার ব্যবসারও ক্ষতি করার চেষ্টা করেছেন।
কিন্তু জায়েদ খানকে নিয়ে মৌসুমীর বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ফারদিন বলেন, এটা নিয়ে যেন এত কাদা ছোঁড়াছুড়ি না হয়, সেই চিন্তা থেকেই আম্মু কথাগুলো বলেছেন। যেন বিষয়টা দ্রুত ঠান্ডা হয়। এক জায়গায় দেখলাম আম্মু না কি বলেছেন, মিথ্যাচারে জড়াচ্ছেন ওমর সানি। এটা ঠিক নয়। আসলে এটা পরিস্থিতি ঠান্ডা করার জন্যই বলেছেন। আম্মু আমার সঙ্গে কথাও হয়েছে,উনি ( আম্মু ) চান না পত্রিকায় অথবা টিভিতে এসব নিয়ে আলোচনা বা সংবাদ প্রকাশ হোক।
বাবা-মায়ের সম্পর্ক এখন কেমন, জানতে চাইলে ফারদিন বলেন, সব ঠিক আছে। আমি আব্বুকে পাচ্ছি, আম্মুকে পাচ্ছি। হ্যাঁ, অনেক বিষয়ে মনোমালিন্য থাকে। আমিও বিয়ে করেছি। আমাদেরও তো হয়। এটা স্বাভাবিক। তবে আব্বু-আম্মু দুজন চাচ্ছেন যেন বিষয়টা সমাধান হয়ে যায়।
জায়েদ খানকে কোনো গুরুত্ব দিচ্ছেন না উল্লেখ করে মৌসুমীর ছেলে বলেন, আমরা উনাকে নিয়ে চিন্তায় পড়ে যাবো এমন নয়। জায়েদ খান আর রাস্তার ব্যাঙ এক কথা, তাই উনাকে নিয়ে ভাবছি না।
ওমর সানি-জায়েদ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে শুক্রবার (১০ জুন)। সেদিন বসুন্ধরার কনভেনশন সেন্টারে ডিপজলের ছেলের বিয়েতে জায়েদকে চড় মেরে বসেন ওমর সানি। তখন ক্ষেপে গিয়ে প্রকাশ্যে পিস্তল বের করে ওমর সানিকে গুলি করে দেওয়ার হুমকি দেন জায়েদ।
অনেকদিন ধরেই নাকি মৌসুমীকে বিরক্ত করছিলেন জায়েদ। ওমর সানি এ নিয়ে ডিপজলের কাছে নালিশও দিয়েছিলেন। ডিপজল সানিকে আশ্বস্ত করেছিলেন জায়েদ আর মৌসুমীকে বিরক্ত করবে না, কিন্তু শোধরাননি জায়েদ। তাই তার ওপর রেগে ছিলেন ওমর সানি, সুযোগ পেয়ে চড় মেরে বসেন।
Leave a Reply