নিজস্ব প্রতিবেদক : এইচ এম বিল্লাল হোসেন রাজু
ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসবে (ইসি)। এ লক্ষ্যে দেশের নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে প্রয়োজনে তাদের টেকনিক্যাল পার্সনসহ ইভিএম যাচাই করে দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এসব বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ইভিএম যাচাইয়ের জন্য আগামী ১৯, ২১ ও ২৬ জুন রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচন কমিশনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। টেকনিক্যাল পার্সনসহ একটি দল থেকে সর্বোচ্চ চার জনকে আসার অনুরোধ করা হয়েছে। এদিন তারা ইভিএম খুলে যে কোনভাবে যাচাই- বাছাই করে দেখতে পারবেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর সাধারণ সম্পাদককে ইতোমধ্যেই চিঠি দিয়েছে ইসি। এক্ষেত্রে দলগুলো চার সদস্যের কারিগরি টিম প্রতিনিধি পাঠাতে পারবে।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে চায় নির্বাচন কমিশন। সে লক্ষ্যে ইভিএম নিয়ে ইতিমধ্যে দেশ সেরা প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে বৈঠক করে মতামত নিয়েছে ইসি।
৩৯ দলের মধ্যে আগামী ১৯ জুন আমন্ত্রণ পেয়েছে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, জেপিসহ মোট ১৩ দল। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাম দলগুলোর আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ২৬ জুন। এছাড়া, ১৯ জুন আমন্ত্রণ পেয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনসহ বাকি ১৩টি দল।
১৯ জুন আমন্ত্রণ পেয়েছে জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি-জেপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, গণফোরাম, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন এনডিএম ও বাংলাদেশ কংগ্রেস।
২১ জুন আমন্ত্রণ পেয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, খেলাফত মজলিস ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল।
২৬ জুন আমন্ত্রণ পেয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল-এমএল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি- এলডিপি, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট।
Leave a Reply