ভোলা প্রতিনিধি: আল এমরান
বিদ্যুতের সীমাহীন লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ভোলা জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আজ (৩১ জুলাই) রবিবার ভোলা জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালীন সময়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আঃ রহিম সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড কোরালিয়া এলাকার বাসিন্দা।
এতে অনেক বিএনপি কর্মী ও কিছু পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে অনেকের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ার কারনে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে বরিশাল পাঠানো হচ্ছে ।
বিদ্যুতের লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় বিএনপির অংশ হিসেবে ভোলা জেলা বিএনপি তাদের নিজস্ব কার্যালয়ের বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেন।
মিটিং শেষ করে বিক্ষোভ মিছিল বের করার সময়ে পুলিশ বাঁধা দিলে একপর্যায়ে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীরাও পুলিশের সাথে ইটপাটকেল ছুঁড়ে সংঘর্ষে জড়ায়। তাতে একজন নিহত ও শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এ ব্যপারে জানতে ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর ফেস দ্যা পিপলকে বলেন গ্যাস, বিদ্যুতের লোডশেডিং ও অব্যবস্থপনার প্রতিবাদে আমরা মিটিং শেষ করে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করতেই পুলিশ আমাদেরকে অতর্কিত হামলা করে। এতে আমাদের একজন নিহত হয়েছেন ও শতাধিক আহত হয়েছেন এবং সংকটাপন্ন হওয়ার কারনে ৫/৬ জনকে বরিশাল পাঠানো হচ্ছে। এই অবস্থায় অনেক নেতাকর্মীদের কে গ্রেফতার করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আসিফ আলতাফ সরকারের সমালোচনা করে বলেন সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই তাই সরকার এখন পিপড়ে গর্জন দিলেও ভয় পায়। যার উদাহরন ভোলার আজকের ঘটনা এবং এই দ্বায় সরকারকেই নিতে হবে। আহতদেরকে সদর হাসপাতারে চিকিৎসা নিতে না দেয়ার অভিযোগও তুলেন পুলিশের বিরুদ্ধে।
এব্যপারে জানতে ভোলা সদর মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ করা হয়নি।
Leave a Reply